প্রকাশিত: Wed, Jan 24, 2024 11:51 AM
আপডেট: Sun, Apr 28, 2024 6:28 PM

[১]দেশে প্রথমবারের মতো রোবটের মাধ্যমে পরানো হলো হার্টের রিং

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] প্রথমবারের মতো হৃদরোগ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি (রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানো) যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। রোববার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্রথমবারের মতো রোবটের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে রিং পরানো হয়েছে। দুজন হৃদরোগীর প্রধান ধমনীতে বিনামূল্যে এ রিং পরানো হয়। হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে একটি বিশেষায়িত দল এ কার্যক্রম সম্পাদন করে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

[৩] এই চিকিৎসা পদ্ধতিটির উদ্বোধন করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন ও কার্ডিলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন। সূত্র: সময় টিভি

[৪] জানা গেছে, রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি যেকোনো দেশের জন্য যুগান্তকারী ও সর্বাধুনিক হৃদরোগ চিকিৎসা পদ্ধতি। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিশ্বে ১৬০টি দেশে রোবোটিক এনজিওপ্লাস্টি সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ভারতে ছয়টি সেন্টার রয়েছে। এ চিকিৎসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল রোবোটিক যুগে পদার্পণ করল।

[৫] এ বিষয়ে ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, ‘কার্ডিওলজিস্টরা এখনো ক্যাথল্যাবে নিজেরা রোগীর কাছে থেকে রোগীদের হার্টের রিং পরান। এর সর্বশেষ আবিষ্কার হলো রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি অর্থাৎ রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানো। এর মাধ্যমে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীর চেয়ে দূরে থেকে নিখুঁতভাবে হৃদরোগীদের হার্টের ধমনিতে রিং পরান।’ সূত্র: ঢাকা মেইল

[৬] রোবটের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই রোবটের দুটি অংশ থাকে। একটি হলো রোবটের একটি হাত; যা ক্যাথল্যাবে থাকে। আরেকটি থাকে কন্ট্রোল সেকশন, যেখান থেকে মূল কার্ডিওলজিস্ট পুরো রিং পরানো কার্যক্রমটি দূর থেকে সম্পন্ন করে থাকেন।’

[৭]  রোবটিক এনজিওপ্লাস্টির সুবিধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর প্রথম সুবিধা হলো হার্টের রিং পরানোর জটিল প্রক্রিয়াটি রোবটের মাধ্যমে খুব সূক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে করা যায়। যা হাত দিয়ে করলে নিখুঁতভাবে করা কঠিন। এছাড়া রোবটিক পদ্ধতিতে সময়ও অনেক কম লাগে, জটিলতাও কম হয়।’ সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী